আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘিরে ইতোমধ্যে আদালত প্রাঙ্গনে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। এরপর ৫ই আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন।
মামলাটি টেকনাফ থানায় নথিভূক্ত করার পর আদালত তদন্তভার দেয় র্যাবকে। র্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০২০ সালের ১৩ই ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। এরপর ২০২১ সালের ২৭শে জুন আদালত ১৫ আসামির বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেয়।
২০২১ সালের ২৩শে আগস্ট থেকে ১লা ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ দফায় ৮৩ জনের মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষী দেন। ৬ ও ৭ই ডিসেম্বর আসামিরা আদালতে জবানবন্দি দেন। সবশেষে ৯ থেকে ১২ই জানুয়ারি পর্যন্ত মামলায় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত ৩১শে জানুয়ারি মামলার রায়ের দিন ঠিক করে।
রাষ্ট্র ও বাদীপক্ষ বলছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। তাই আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে। মামলার ১৫ আসামির মধ্যে পুলিশের ৯ জন ও এপিবিএন এর ৩ জন। আর অপর ৩ জন পুলিশের দায়ের মামলার সাক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দা।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন